একটি বিশেষ প্রদর্শনী ‘আদিযোগী শিব: এ জার্নি ইন কসমিক ইন্ডিগো’ উদ্বোধনে হাই কমিশনারের বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

একটি বিশেষ প্রদর্শনী ‘আদিযোগী শিব: এ জার্নি ইন কসমিক ইন্ডিগো’ উদ্বোধনে হাই কমিশনারের বক্তব্য

একটি বিশেষ প্রদর্শনী ‘আদিযোগী শিব: এ জার্নি ইন কসমিক ইন্ডিগো’ উদ্বোধনে হাই কমিশনারের বক্তব্য

প্রফেসর নিসার হুসেইন, ডিন, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

***

আজ এখানে একত্রিত হওয়া সকলকে উষ্ণ স্বাগত জানাই।

১. ‘আদিইয়োগী শিভা: এ জার্নি ইন কসমিক ইন্ডিগো’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রদর্শনী এবং ‘ইন্ডিগো পেইন্টিং অন হ্যান্ডস্পান খাদি’-র ওপর একটি কর্মশালার উদ্বোধন করার উদ্দেশ্যে আজ এখানে আমাদের একত্রিত হওয়াটা একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্তকে চিহ্নিত করে। এই অনুষ্ঠানসমূহ আমাদের দুই দেশের মধ্যে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতীক, এবং আমি বিশ্বাস করি যে, সেগুলো আমাদের যৌথ ঐতিহ্যের গভীর উপলব্ধি ও মর্যাদাকে লালন করবে।

***

২. ‘আদিইয়োগী শিভা: এ জার্নি ইন কসমিক ইন্ডিগো’ প্রদর্শনীটি আদিযোগী, প্রথম যোগী ও মহাজাগতিক চেতনার মূর্ত প্রতীক হিসেবে ভগবান শিবের গভীর ও কালজয়ী সত্তাকে উদ্‌যাপন করে। শিল্পকলা ও সৃজনশীলতার এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমরা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিদ্যমান সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি প্রদর্শনের আশা করছি। এটি এই সত্যেরই প্রমাণ যে, আমাদের দুটি দেশ কেবল ভৌগলিক নৈকট্যই নয় বরং একটি আধ্যাত্মিক বন্ধনও ভাগাভাগি করে নেয়, যা সীমানাকে অতিক্রম করে যায়।

৩. ভারতীয় ও বাংলাদেশি, উভয় সংস্কৃতিতেই ইন্ডিগো রং-টির একটি গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এর গভীর বর্ণ অসীমতা ও অনন্তকালের চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে, যা মহাজাগতিকতার অস্তিত্বকে প্রতিফলিত করে। এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করার মাধ্যমে আমরা এই মহাজাগতিক ইন্ডিগো থেকে অনুপ্রাণিত শৈল্পিক অভিব্যক্তি উদ্‌যাপন করছি, যা আমাদের হৃদয় ও আত্মাকে সংযুক্ত করে।

***

৪. এই প্রদর্শনীটির সঙ্গে আমরা একইসাথে ‘ইন্ডিগো পেইন্টিং অন হ্যান্ডস্পান খাদি’-র ওপর একটি কর্মশালাও পরিচালনা করছি। এই হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার লক্ষ্য হলো আমাদেরকে ইন্ডিগো ডাইয়িং-এর ঐতিহ্যবাহী কারুকাজ এবং বিখ্যাত হ্যান্ডস্পান খাদি কাপড়ের সাথে এর সংযোগের কাছাকাছি নিয়ে আসা। এই ধরনের উদ্যোগগুলো কেবল আমাদের পুরানো কারুশিল্পকে সংরক্ষণই করে না বরং আমাদের শিল্পী এবং কারিগরদের মধ্যে সহযোগিতা এবং দক্ষতা ভাগাভাগি করে নিতেও উত্সাহিত করে।

৫. আজ এই অনুষ্ঠানগুলোর সূচনা উদ্‌যাপন করতে গিয়ে আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রচার এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এই ধরনের সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং আমি সমস্ত শিল্পী, সংগঠক ও সমর্থকদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যাঁরা এই প্রদর্শনী ও কর্মশালা সম্ভবপর করেছেন।

৬. আসুন আমরা উন্মুক্ত হৃদয় ও মন দিয়ে এই প্রদর্শনী ও কর্মশালাকে আলিঙ্গন করি। এই সৃজনশীল প্রচেষ্টাগুলো একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিকে সমৃদ্ধ করুক এবং আমাদের দুই জাতির মধ্যে একটি উজ্জ্বল ও অধিকতর সম্প্রীতিময় ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করুক। আমি আপনাদের প্রত্যেককে তাদের নিবেদিত সৌন্দর্য ও জ্ঞানের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করতে উত্সাহিত করছি।